
ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, মুসলিম জাতির বিজয়ের জন্য এখন ঐক্য জরুরি। সেটা দেশ বা বিদেশের যেকোনো বিষয় হোক। ইসলামী দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ইসলামের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে যশোর পুলেরহাটস্থ আদ-দীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের তৃতীয় দিনের প্রথম বক্তার বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমাদের সমাজে ভালোগুণের দুর্ভিক্ষ চলছে। এর অন্যতম আদাব শিষ্টাচার। শিশু থেকে কিশোর, যুবক থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত শিষ্ঠাচাররের ভয়াবহ অভাব লক্ষ করছি। বিশেষ করে পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের স্বদেশে বাস্তবায়ন করতে একটি গুষ্ঠি এ কাজ করছে। তারা এই সমাজে লুকিয়ে থেকে ইসলামের কৃষ্টিকালচার মুছে দিতে শত সহস্র উদ্যোগ নিয়েছে। এখন আমাদের জরুরি হয়ে পড়েছে, কুরআন শিক্ষা ধারণ করে প্রচার করে প্রতিষ্ঠিত করা। এই শিক্ষা ঘরে বাইরে আইনে সংবিধানে সংসদে সর্বত্র বাস্তবায়ন করে ভিনদেশি পশ্চিমা সংস্কৃতির ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশে শব্দ সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। যততত্র রাস্তায় হর্ণ বাজানো হচ্ছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটের নামে ভিনদেশি সংস্কৃতিতে ঝুঁকে পড়েছে তরুণ সমাজ। এতো প্রচার প্রচারণা করে সর্তক করেও থার্টিফাস্ট নাইটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শব্দ সন্ত্রাসে মেতেছিলেন। শতশত মানুষের কষ্টের কারণ হয়েছে। ধর্ম হোক বা রাজনীতি, বিনোদন হোক আর আনন্দ হোক। আনন্দ বিনোদনের নামে কোন শব্দ সন্ত্রাস করে মানুষকে অতিষ্ট করা কোন সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে না। তাই আমাদের ভিনদেশি অপসংস্কৃতি আমদানি করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং থামাতে সচেতন হতে হবে।
এদিকে শায়খ আহমাদুল্লাহ বক্তব্য পরে বক্তব্য শুরু করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। দেশের জনপ্রিয় দুই ইসলামি স্কল্যারের আগমন উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ঢল নেমেছে পুলেরহাট এলাকায়। সকাল থেকে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে আসতে শুরু করে। দলে দলে মানুষের উপস্থিতি হতে শুরু কর মাহফিলের মাঠে। যানচলাচল বন্ধ রয়েছে যশোর সাতক্ষীরা, যশোর খুলনা মহাসড়কের যশোর অংশের।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনে নিরীহ জনগণের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর প্রতিবাদে বাংলাদেশ দৃশ্যমান কোনো প্রতিবাদ করেনি। মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অথচ অমুসলিম দেশগুলোতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছে। তুরস্কসহ বহু দেশ ইসরাইলি পণ্য বয়কট করেছে। মুসলিম জাতির বিজয়ের জন্য এখন ঐক্য জরুরি। সেটা দেশ বা বিদেশের যেকোনো বিষয় হোক।
তিনি বলেন, মুসলমানদের দাবি আদায় করতে হলে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থাকলে কোনো দিনই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। সেটা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক যেটাই হোক না কেন।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে লজ্জিত জানিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ দৃশ্যমান কোনো প্রতিবাদ করেনি। এখন দেরিতে হলেও তা শুরু হয়েছে। তবে এ আন্দোলন আরও জোরালো করতে হবে। আর মনের মধ্যে মসজিদুল আকসার প্রতি সবসময় টান অনুভব করতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অফিসে মসজিদুল আকসার ছবি টাঙাবো। এটা যখনই দেখব, তখন যাতে আকসার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। বাচ্চারা যেন মসজিদুল আকসা সম্পর্কে জানতে পারে।
ইসরাইলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ইসরাইলি পণ্য বয়কট করেছে; যা আমাদের দেশে হয়নি। মুদি দোকানে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের তালিকা টাঙিয়ে দিয়ে এটা কার্যকর করা যেতে পারে।
চলতি বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের ওপর হামলা শুরু করে ইসরাইল। এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। আমরা নিজেদের ইগু থেকে বের হয়ে আসতে হবে। েএক অপরকে ছাড় দিয়ে হলেও ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এটি নামাজ রোজার মতোই ফরজ। ্মার কাজ আমি করবো। আরেক ভাইর ভঅলো কাজে সহযোগূতা করবো। না পারলে চুপ থাকবো।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে যশোর পুলেরহাটস্থ আদ-দীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের তৃতীয় দিনের প্রথম বক্তার বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমাদের সমাজে ভালোগুণের দুর্ভিক্ষ চলছে। এর অন্যতম আদাব শিষ্টাচার। শিশু থেকে কিশোর, যুবক থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত শিষ্ঠাচাররের ভয়াবহ অভাব লক্ষ করছি। বিশেষ করে পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের স্বদেশে বাস্তবায়ন করতে একটি গুষ্ঠি এ কাজ করছে। তারা এই সমাজে লুকিয়ে থেকে ইসলামের কৃষ্টিকালচার মুছে দিতে শত সহস্র উদ্যোগ নিয়েছে। এখন আমাদের জরুরি হয়ে পড়েছে, কুরআন শিক্ষা ধারণ করে প্রচার করে প্রতিষ্ঠিত করা। এই শিক্ষা ঘরে বাইরে আইনে সংবিধানে সংসদে সর্বত্র বাস্তবায়ন করে ভিনদেশি পশ্চিমা সংস্কৃতির ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশে শব্দ সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। যততত্র রাস্তায় হর্ণ বাজানো হচ্ছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটের নামে ভিনদেশি সংস্কৃতিতে ঝুঁকে পড়েছে তরুণ সমাজ। এতো প্রচার প্রচারণা করে সর্তক করেও থার্টিফাস্ট নাইটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শব্দ সন্ত্রাসে মেতেছিলেন। শতশত মানুষের কষ্টের কারণ হয়েছে। ধর্ম হোক বা রাজনীতি, বিনোদন হোক আর আনন্দ হোক। আনন্দ বিনোদনের নামে কোন শব্দ সন্ত্রাস করে মানুষকে অতিষ্ট করা কোন সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে না। তাই আমাদের ভিনদেশি অপসংস্কৃতি আমদানি করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং থামাতে সচেতন হতে হবে।
এদিকে শায়খ আহমাদুল্লাহ বক্তব্য পরে বক্তব্য শুরু করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। দেশের জনপ্রিয় দুই ইসলামি স্কল্যারের আগমন উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ঢল নেমেছে পুলেরহাট এলাকায়। সকাল থেকে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে আসতে শুরু করে। দলে দলে মানুষের উপস্থিতি হতে শুরু কর মাহফিলের মাঠে। যানচলাচল বন্ধ রয়েছে যশোর সাতক্ষীরা, যশোর খুলনা মহাসড়কের যশোর অংশের।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনে নিরীহ জনগণের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর প্রতিবাদে বাংলাদেশ দৃশ্যমান কোনো প্রতিবাদ করেনি। মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অথচ অমুসলিম দেশগুলোতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছে। তুরস্কসহ বহু দেশ ইসরাইলি পণ্য বয়কট করেছে। মুসলিম জাতির বিজয়ের জন্য এখন ঐক্য জরুরি। সেটা দেশ বা বিদেশের যেকোনো বিষয় হোক।
তিনি বলেন, মুসলমানদের দাবি আদায় করতে হলে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থাকলে কোনো দিনই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। সেটা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক যেটাই হোক না কেন।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে লজ্জিত জানিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ দৃশ্যমান কোনো প্রতিবাদ করেনি। এখন দেরিতে হলেও তা শুরু হয়েছে। তবে এ আন্দোলন আরও জোরালো করতে হবে। আর মনের মধ্যে মসজিদুল আকসার প্রতি সবসময় টান অনুভব করতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অফিসে মসজিদুল আকসার ছবি টাঙাবো। এটা যখনই দেখব, তখন যাতে আকসার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। বাচ্চারা যেন মসজিদুল আকসা সম্পর্কে জানতে পারে।
ইসরাইলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ইসরাইলি পণ্য বয়কট করেছে; যা আমাদের দেশে হয়নি। মুদি দোকানে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের তালিকা টাঙিয়ে দিয়ে এটা কার্যকর করা যেতে পারে।
চলতি বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের ওপর হামলা শুরু করে ইসরাইল। এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। আমরা নিজেদের ইগু থেকে বের হয়ে আসতে হবে। েএক অপরকে ছাড় দিয়ে হলেও ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এটি নামাজ রোজার মতোই ফরজ। ্মার কাজ আমি করবো। আরেক ভাইর ভঅলো কাজে সহযোগূতা করবো। না পারলে চুপ থাকবো।